Posts

Showing posts from March, 2020

আল্লাহর প্রিয় হতে করণীয়|এইচ.এম নুর আলম ফয়সাল

Image
আল্লাহর প্রিয় হতে করণীয়ঃ দুনিয়ায় কোন মানুষের প্রিয় হওয়াটা খুবই কঠিন। মানুষ একে অন্যের প্রিয় হওয়ার জন্য কতকিছুই না করে থাকে। সময়, শ্রম, অর্থ ইত্যাদি ঢেলেও অনেকক্ষেত্রে মানুষের প্রিয় হওয়া যায় না। মানুষ ব্যর্থ হওয়ার পরে আবারো ছুটে চলে কারো না কারো প্রিয় হওয়ার পেছনে। কেউ বসের, কেউ স্ত্রী, কেউ নেতা, কেউ জনগনের প্রিয় হতে কতইনা মরিয়া। কিন্তু আমরা একবারো ভেবে দেখিনা যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তার প্রিয় হতে পেরেছি কিনা। আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হওয়া খুবই সহজ। প্রয়োজন হয় না কোন মাধ্যমের, ঘুষের নেই কোন আদান-প্রদান। শুধুমাত্র গতিশীল জীবনে চলতে ফিরতে কিছু কাজ করলেই আল্লাহ প্রিয় হওয়া যায়। এর জন্য আলাদাভাবে সময়ের প্রয়োজন হয়না, অনেক টাকা পয়সারও প্রয়োজন নেই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা কাদেরকে ভালোবাসেন অথবা কোন বান্দারা তার প্রিয় তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।কুরআনের আলোকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে করণীয় নিম্মে উল্লেখ করা হলো- ১. আল্লাহর ওপর ভরসা করুনঃ মুমিন জীবন মানেই আল্লাহ নির্ভর। সুখ-দুঃখ, ভালো-মন্দ সবকিছুতেই মুমিন আল্লাহর ওপর ভরসা করে। মুমিন বিপদ-আপদ, রোগ-বালাই সর্বাবস্থায় নিজস্ব চেষ্টার পরে ফলাফ...

পছন্দের আলেমের পক্ষালম্বনঃ আমাদের করণীয়

পছন্দের আলেমের পক্ষালম্বনঃ আমাদের করণীয় এখানে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এবং তরুন ও যুব সমাজের পছন্দের প্রিয় আলেম ড. মিযানুর রহমান আযহারীর ভক্তদের উদ্দেশ্য করে সকল আলেমের ভক্তদের জন্য  কয়েকটি কথা তুলে ধরলাম। 👉আযহারীর পক্ষে থেকে কি লাভ যদি তুমি গিবত, হিংসা আর কুৎসা থেকে বাচতে না পারো। 👉আযহারীর পক্ষে থেকে কি লাভ যদি তুমি তার মতো বিনয়ী হতে না পারো। 👉আযহারীর পক্ষে পোস্ট দিয়ে কি লাভ যদি তুমি নিজেকে সংশোধন করতে না পারো। 👉 আযহারীর পক্ষে ঝড় তুলে কি লাভ যদি তুমি অন্যের দোষ খোজা থেকে বিরত থাকতে না পারো। ★ পাবলিকলি অন্য আলেমকে হেনেস্তা করে বক্তব্য বা লেখালেখি করার আগে একবারও কি তোমার ভয় হয়না!!! একবারও কি তোমার মনে হয় না তুমি ভূল করতেছ। মতভেদ থাকবে, পারলে মার্জিত ভাষায় সংশোধন করে দাও, আর আলোচনা সমালোচনা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখ। তুমি যে আলেমকে বিশ্রিভাবে উপস্থাপন করতেছ,  আত্ম বিশ্লেষণ করে দেখ তুমি কি তারচেয়ে বেশী পরিশুদ্ধ? তোমার জীবনে কি তার চাইতে বড় ভূল নেই??? তিনিতো তোমার মতের বিরোধিতা করতেছে, হারাম কোন কাজ করতেছে না। অথচ তোমার আমার জীবন ঘাটলে বহু হারাম কাজের সন্...

মহান রবের ক্ষমা ও অনুগ্রহ এবং রবের স্মরন থেকে গাফেল থাকার পরিনতি

বিষয়ঃ মহান রবের ক্ষমা ও অনুগ্রহ এবং রবের স্মরন থেকে গাফেল থাকার পরিনতি পাহাড়সম পাপ ও মহাসমুদ্রের মত বিশাল গুনাহের ভান্ডার নিয়ে হতাশ ও নিরাশ না হয়ে প্রভূর দয়া, অনুগ্রহ ও ক্ষমার কথা স্মরণ করতে হবে, এবং তার নির্দেশিত পথে এখনই ফিরে আসতে হবে। নুর, হেদায়াত, আর কল্যাণের পথে থেকে পরকালীন সফলতার পথকে সতেজ করে নিতে হবে। যত বড় অন্যায় ও গোনাহ হোক না কেন, যদি মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে নিজের ভূলের স্বীকৃতি দিয়ে বান্দাহ ক্ষমা চাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দেন। [ ] ক্ষমা ও অনুগ্রহ সম্পর্কে আল্লাহর বাণী আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ  وَسَارِعُوۡۤا اِلٰى مَغۡفِرَةٍ مِّنۡ رَّبِّكُمۡ وَجَنَّةٍ عَرۡضُهَا السَّمٰوٰتُ وَالۡاَرۡضُۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِيۡنَۙ "দৌঁড়ে চলো তোমাদের রবের ক্ষমার পথে এবং সেই পথে যা পৃথিবী ও আকাশের সমান প্রশস্ত জান্নাতের দিকে চলে গেছে, যা এমন সব আল্লাহভীরু লোকদের জন্য তৈরী করা হয়েছে"। (ইমরান-১৩৩) قُلۡ يٰعِبَادِىَ الَّذِيۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰٓى اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَةِ اللّٰهِ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ يَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِيۡعًا‌ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡر...

একদেশদর্শীতা মানসিক বিকৃতির লক্ষণঃ

একদেশদর্শীতা মানসিক বিকৃতির লক্ষণঃ উস্তাদ সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (র) বলেন- একগুয়েমির মাত্রা একটা অবস্থায় পৌঁছে থেমে না গেলে তা সামনে অগ্রসর হয়ে চরম একদেশদর্শীতার রূপ অবলম্বন করে। অতঃপর মানুষ নিজের মতের উপর প্রয়োজনের অধিক জোর দিতে থাকে। মতবিরোধের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করে। অন্যের চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ন্যায়ের দৃষ্টিতে দেখে না এবং বুঝতে চেষ্টা করে না। বরং প্রত্যেকটি বিরোধী মতের নিকৃষ্টতম অর্থ করে তা হেয় প্রতিপন্ন করতে ও দূরে নিক্ষেপ করতে চায়। এর ফলে দিনের পর দিন সে অন্যের জন্যে এবং অন্যেরা তার জন্যে অসহনীয় হয়ে যেতে থাকে। এইচ.এম নুর আলমফয়সাল লেখিক ও

চোগলখোরী- দু'মুখো মানুষের পরিচয়ঃ

চোগলখোরী- দু'মুখো মানুষের পরিচয়ঃ এই প্রকৃতির মানুষ সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এরা সবার কাছে নিজেকে ভালো হিসেবে উপস্থাপন করে, তথা সবার কাছে নিজেকে তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করে। মানুষকে তার ভূল ধরিয়ে না দিয়ে অন্য কেউ তার ব্যাপারে কি বলেছে এসব বাদানুবাদে চোগলখোর প্রকৃতির লোকগুলো ব্যস্ত থাকে। চোগলখোরি সম্পর্কে উস্তাদ মওদুদী (র) বলেন- গীবত যে আগুন জ্বালায় চোগলখোরী তাকে বিস্তৃত করে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেয়। স্বার্থবাদীতার প্রেরণাই হয় এর মধ্যে আসল কার্যকর শক্তি। চোগলখোর ব্যক্তি কারুর কল্যাণকামী হতে পারে না। নিন্দিত দু’জনের কারুর কল্যাণ তার অভিপ্সীত হয় না। সে দুজনেরই বন্ধু সাজে কিন্তু অমঙ্গল চায়। তাই সে মনোযোগ দিয়ে দু’জনের কথা শুনে, কারুর প্রতিবাদ করে না। তারপর বন্ধুর নিকট এ খবর পৌঁছিয়ে দেয়। এভাবে যে আগুন এক জায়গায় লেগেছিল তাকে অন্য জায়গায় লাগাতেও সাহায্য করে। ইসলামী শরীয়ত এ কাজকে হারাম গণ্য করেছে। কারণ এর বিপর্যয়কারী ক্ষমতা গীবতের চাইতেও বেশী। কুরআনে চোগলখোরীকে মানুষের জঘণ্যতম দোষরুপে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ لا يدخل الجنة نمَّامٌ –অর্থাৎ “কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করব...

প্রদর্শনেচ্ছা ও সম্মানের আকাঙ্ক্ষা দ্বীনকে ধ্বংস করে দেয়

প্রদর্শনেচ্ছা ও সম্মানের আকাঙ্ক্ষা দ্বীনকে ধ্বংস করে দেয়ঃ মুমিন তার সকল কর্ম কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করবেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে দেখানোর জন্য বা কারো নিকট থেকে প্রশংসা, সম্মান বা পুরস্কার লাভের জন্য কর্ম করাকে ‘রিয়া’ বলা হয়। বাংলায় আমরা একে ‘প্রদর্শনেচ্ছা’ বলতে পারি। মুমিনের সকল ইবাদত ধ্বংস করার ও তাকে জাহান্নামী বানানোর জন্য শয়তানের অন্যতম ফাঁদ ‘রিয়া’। কুরআন ও হাদীসে রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছার ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। রিয়া থেকে আত্মরক্ষার জন্য মুমিনের চেষ্টা করতে হবে যথাসম্ভব সকল নফল ইবাদত গোপনে করা। তবে যে ইবাদত প্রকাশ্যে করাই সুন্নাত-সম্মত তা প্রকাশ্যেই করতে হবে। রিয়ার ভয়ে কোনো নিয়মিত ইবাদত বা প্রকাশ্যে করণীয় ইবাদত বাদ দেওয়া যাবে না। রিয়ার অনুভূতি মন থেকে দূর করতে চেষ্টা করতে হবে। কখনো এসে গেলে বারবার তাওবা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তাওফীক প্রার্থনা করতে হবে। রিয়ার অন্যতম কারণ সমাজের মানুষদের কাছে সম্মান, মর্যাদা বা প্রশংসার আশা। আমাদের খুব ভালভাবে বুঝতে হবে যে, দুনিয়ায় কোনো মানুষই কিছু দিতে পারে না। সকলেই আমার মতই অক্ষম। যে মানুষকে দেখানো জন্য, শোনানোর জন্য...

দারসুল কুরআন| রবের শ্রেষ্ঠত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের আহ্বানে করনীয় | সূরা মুদ্দাসসির (১-৭)

Image
দারসুল কুরআন   বিষয়ঃ মহান রবের শ্রেষ্ঠত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের আহ্বানে করণীয়  (সূরা- মুদ্দাসসির, আয়াত: ১-৭) اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيْم يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ (১) قُمْ فَأَنْذِرْ (২) وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ (৩) وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ (৪) وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ (৫) وَلَا تَمْنُنْ تَسْتَكْثِرُ (৬) وَلِرَبِّكَ فَاصْبِرْ (৭) [ ] সরল অনুবাদঃ (১) হে বস্ত্র আচ্ছাদানকারী (২) ওঠো এবং সতর্ক করো (৩) এবং তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব বা মহত্ব ঘোষনা করো (৪) আর তোমার পোশাক পবিত্র রাখো (৫) অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকো (৬) অধিক প্রতিদানের আশায় কারো প্রতি অনুগ্রহ করো না (৭) এবং তোমার রবের জন্য ধৈর্য অবলম্বন করো। [ ] নামকরণঃ প্রথম আয়াতের ( الْمُدَّثِّرُ) শব্দটিকে এ সূরার নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এটিও শুধু সূরার নাম। এর বিষয় ভিত্তিক শিরোনাম নয়। [ ] নাযিল হওয়ার সময়কালঃ সূরার প্রথম সাতটি আয়াত পবিত্র মক্কা নগরীতে নবুওয়াতের একেবারে প্রাথমিক যুগে নাযিল হয়েছিল। ইমাম যুহরী এর বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন এভাবেঃ (সূরা আলাক নাযিলের পর) “কি...