আকীদা (ঈমান) : পর্ব- ০১ || এইচ.এম নূর আলম ফয়সাল

আকীদা (ঈমান) : পর্ব- ০১ 
[পরিচয়, পরিভাষা, স্বরুপ, উৎস ও গুরুত্ব] 


ইসলামের যাবতীয় ইবাদত ও আমলের ফাউন্ডেশন হচ্ছে ঈমান। ঈমান ব্যাতিরেকে কোনো ইবাদত গ্রহনযোগ্য নয়, ঈমান ছাড়া কোন ভালো কাজ কবুল হবে না এমনকি পরকালে মুক্তিও মিলবে না। এই ঈমান বলতে আমরা বুঝাচ্ছি আকীদা। ইবাদতের রুপ ও আমলের সৌন্দর্য যত ভালো ও নেক মনে হোক না কেন, ঈমান বা আকীদা যদি সেই আমলের ভিত্তি না হয় তাহলে রাব্বুল আলামীনের নিকট সেই আমল পরিত্যাজ্য। কুরআনের দৃষ্টিতে সেটিই নেক আমল যেটার ভিত্তি বা প্রেরণা হলো ঈমান। যাকে আমরা আকীদা বলে থাকি।

আকীদা বা ইসলামী ধর্ম বিশ্বাস বুঝাতে কুরআন ও হাদীসে ঈমান শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। তাবেয়ীগনের যুগ থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- 

★তাওহিদ- একত্ব বা মহান আল্লাহর একত্বে বিশ্বাষ। যা ২য় হিজরী থেকে ইসলামী ঈমান বা বিশ্বাস হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে আসছে। ইমাম আবু হানীফা (র) আকীদা কে তাওহিদ হিসেবে অভিহিত করেছেন। 

★আস সুন্নাহ - বিশ্বাসের বিষয়ে রাসূল (স) ও সাহাবীদের মূলনীতি উপস্থাপন করতে হিজরী তৃতীয় শতক থেকে অনেক আলেম 'আকীদা 'কে 'আস সুন্নাহ' হিসেবে অভিহিত করেন। 

★আশ শরীয়াহ- ধর্ম বিশ্বাস বা বিশ্বাস বিষয়ক মূলনীতি। হিজরী তৃতীয় শতকের পরে আকীদা হিসেবে কেউ কেউ এর ব্যবহার করেছেন। 

★উসূলুদ দীন- অর্থ দ্বীনের ভিত্তি। চতুর্থ শতক থেকে কেউ কেউ আকীদা বুঝাতে এ পরিভাষা ব্যবহার করেন। 

★আকীদা- ৪র্থ শতক থেকে এ পরিভাষাটি প্রচলন লাভ করে। পরবর্তী যুগে ইসলামী ধর্ম বিশ্বাস অর্থে 'আকীদা' একমাত্র পরিভাষায় পরিনত হয়। 

[ ] আকীদার স্বরুপঃ
আমরা জানি বিশ্বাস ও কর্মের সমন্বয়ে ইসলাম। আমরা যা যা ইবাদত করি তা আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য বা কবুল হওয়ার শর্ত হচ্ছে সাচ্ছা ঈমান বা আকীদা। ইবাদত বা আমল পরে, প্রথমেই ঈমান বা আকীদা ঠিক করতে হবে। কেননা আকীদা হলো ভিত্তি, আর ভিত্তি ঠিক থাকলে উপরে কিছু ভূল হলে সেটা সংশোধন করার সুযোগ থাকে। কিন্তু ভিত্তি যদি ঠিক না থাকে বা নড়বড়ে হয় তাহলে সমূলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তথা আকীদা ঠিক না রেখে যতই আমল করি না কেন তা কোন কাজে আসবে না। এর কারন হলো প্রত্যেকটি ইবাদত বা আমলের সাথে আকীদা জড়িয়ে আছে। 
এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ। 

পৃথিবীতে যত নবী রাসূল এসেছেন প্রত্যেকের দ্বীন বা ধর্ম বিশ্বাস এক ও অভিন্ন তথা আকীদার স্বরুপ ও মাপকাঠি ছিলো এক। শুধুমাত্র আহকাম ও শরীয়াহ কার্যাবলী কিছুটা আলাদা ছিলো। তবে যে জাতির জন্য যে শরীয়াহ বাধ্যতামূলক করা হবে তাদেরকে সে শরীয়াহ পালনের মাধ্যমেই অভিন্ন দ্বীনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থাৎ আদম (আ) থেকে শুরু করে মুহাম্মদ (স) পর্যন্ত সকল উম্মতের জন্য দ্বীনের বিশ্বাস একটি। উম্মতভেদে আমলের কিছু রুপ পরিবর্তন হয়েছিলো। 

তাই আহকাম ও শরীয়াহ অনুসরণের পূর্বে অবশ্যই দ্বীন (আকীদা ও তাওহিদ) বুঝার চেষ্টা করতে হবে। অন্যথায় শরীয়ার অনুসরণে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। অর্থাৎ আকীদা বিশ্বাসের যায়গাটি সর্বপ্রথম দৃঢ় করে নিতে হবে। উম্মতে মোহাম্মদী কে আল্লাহ তায়ালার ইসলাম শেখানোর পদ্ধতিও এমন ছিলো। রাসূল (স) এর মক্কী জীবনে অবতীর্ণ আয়াত ও সূরা সমূহের সিংহভাগের বিষয় বস্তুই ছিলো - তাওহিদ, রেসালাত, আখেরাত।

ইমাম আবু হানীফা (র) দ্বীন ও শরীয়াহ এর মধ্যে এভাবে পার্থক্য করেছেন- দ্বীন হলো বিশ্বাস ও তাওহিদের নাম, পক্ষান্তরে আহকাম ও শরীয়াহ কর্ম বিষয়ক বিধানবলির নাম। এ সংক্রান্ত অন্যান্য ইমাম ও সালাফদের বক্তব্য দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। 

অতএব আমরা বুঝতে পারি বিভিন্ন নবী - রাসূল কে আল্লাহ বিভিন্ন শরীয়াহ দিয়েছেন, তবে সকলের দ্বীন তথা আকীদার স্বরুপ এক ও অভিন্ন। 

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন- 

‌ؕ لِكُلٍّ جَعَلۡنَا مِنۡكُمۡ شِرۡعَةً وَّمِنۡهَاجًا‌ؕ وَلَوۡ شَآءَ اللّٰهُ لَجَعَلَكُمۡ اُمَّةً وَّاحِدَةً
'তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি শরীয়াত ও একটি কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করে রেখেছি। আল্লাহ চাইলে তোমাদের সবাইকে একই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত করতে পারতেন'। (মায়েদা-৪৮) 

এ আয়াতের মাধ্যমে বিভিন্ন নবী-রাসূল ও আলাদা উম্মত সৃষ্টির ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

আর আল্লাহ সকলকে নিজ নিজ শরীয়ত পালন পূর্বক দ্বীন প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন, আর সেই দীন হচ্ছে তাওহিদ। 

 شَرَعَ لَكُمۡ مِّنَ الدِّيۡنِ مَا وَصّٰى بِهٖ نُوۡحًا وَّالَّذِىۡۤ اَوۡحَيۡنَاۤ اِلَيۡكَ وَمَا وَصَّيۡنَا بِهٖۤ اِبۡرٰهِيۡمَ وَمُوۡسٰى وَعِيۡسٰٓى اَنۡ اَقِيۡمُوۡا الدِّيۡنَ وَلَا تَتَفَرَّقُوۡا فِيۡهِ‌ؕ كَبُرَ عَلَى الۡمُشۡرِكِيۡنَ مَا تَدۡعُوۡهُمۡ اِلَيۡهِ‌ؕ اللّٰهُ يَجۡتَبِىۡۤ اِلَيۡهِ مَنۡ يَّشَآءُ وَيَهۡدِىۡۤ اِلَيۡهِ مَنۡ يُّنِيۡبُ‏
তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই সব নিয়ম-কানুন নির্ধারিত করেছেন যার নির্দেশ তিনি নূহকে দিয়েছিলেন এবং (হে মুহাম্মাদ) যা এখন আমি তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে পাঠিয়েছি। আর যার আদেশ দিয়েছিলাম আমি ইবরাহীম (আ), মূসা (আ) ও ঈসাকে (আ) । তার সাথে তাগিদ করেছিলাম এই বলে যে, এ দ্বীনকে কায়েম করো এবং এ ব্যাপারে পরস্পর ভিন্ন হয়ো না। (হে মুহাম্মাদ) এই কথাটিই এসব মুশরিকের কাছে অত্যন্ত অপছন্দনীয় যার দিকে তুমি তাদের আহবান জানাচ্ছো। আল্লাহ‌ যাকে ইচ্ছা আপন করে নেন এবং তিনি তাদেরকেই নিজের কাছে আসার পথ দেখান যারা তাঁর প্রতি রুজু করে। (শূরা-১৩) 

অর্থাৎ তাওহিদের (দীন) দিকে আহ্বান করাটা মুশরিকরা সহ্য করতে পারে না। 

আল্লাহ আরো বলেন- 
 وَمَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِكَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِىۡۤ اِلَيۡهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ
আমি তোমার পূর্বে যে রসূলই পাঠিয়েছি তাঁর প্রতি এ অহী করেছি যে, আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই কাজেই তোমরা আমারই বন্দেগী করো। (আম্বিয়া-২৫) 

উক্ত আয়াতদ্বয় দ্বারা আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট হয়ে যায়, কাউকে দ্বীন বা ইসলামের দিকে আহবান করার প্রথম এজেন্ডা হবে আকীদা বা তাওহিদের বিশ্বাস। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই (বিশ্বাস/আমল) আকীদার সঠিক মাপকাঠি অনুসরণ আবশ্যিক। আর আকীদার নিউক্লিয়াস হলো তাওহিদ। তাই সঠিক আকীদা লালনের জন্য তাওহিদের চেতনায় পুরোপুরি উদ্ভাসিত হতে হবে। কেননা একত্ববাদী আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকেই সকল কিছু এসেছে। তাই তার প্রতি বিশ্বাসের দৃঢ়তাই অন্য সকল কিছু (বিশ্বাস/আমল) যথাযথ পালনে উৎসাহ পাওয়া যাবে। সেজন্য অনেকেই তাওদিকেই আকীদা হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। 

অন্যান্য নবীদের কর্মের দৃষ্টান্ত দেখলে আমরা আরো স্পষ্ট হয়ে যাবো-
মানুষদেরকে কুফফার বা শিরক থেকে আল্লাহ প্রদত্ত এক ও অভিন্ন দ্বীন তথা এক ও অভিন্ন বিশ্বাসের দিকে আহ্বানের ক্ষেত্রে সকল আম্বিয়াদের প্রধান এজেন্ডা ছিলো তাওহিদ। যাকে আমরা আকীদা বা আকীদার নিউক্লিয়াস হিসেবে অবিহিত করেছি। আল্লাহ বলেন- 

(হে নবী) বলে দিনঃ এই আমার পথ। আমি আল্লাহর দিকে বুঝে সুঝে দাওয়াত দেই, আমি এবং আমার অনুসারীরা। আল্লাহ পবিত্র। আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই। [ইউসুফ-১০৮]

"নিশ্চয় আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠিয়েছি। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্যে একটি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি"। [আরাফ-৫৯]

"আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই"। [আরাফ-৬৫]

সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। [আরাফ-৭৩]

আমি মাদইয়ানের প্রতি তাদের ভাই শোয়ায়েবকে প্রেরণ করেছি। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। [আরাফ-৮৫]

'আমি মূসাকে নিদর্শনাবলী সহ প্রেরণ করেছিলাম যে, স্বজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনয়ন এবং তাদেরকে আল্লাহর দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে'। [ইবরাহিম-৫]

অতএব বলা যায়, ইসলামী ধর্ম বিশ্বাসের অনুসরণে প্রধান কাজ হলো সকল উম্মতের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক ও অভিন্ন দ্বীনে (আকীদা ও তাওহিদে) শামিল হওয়া।

আল্লাহ তায়ালা বলেন- 
فَاَقِمۡ وَجۡهَكَ لِلدِّيۡنِ حَنِيۡفًا‌ؕ فِطۡرَتَ اللّٰهِ الَّتِىۡ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيۡهَا‌ؕ لَا تَبۡدِيۡلَ لِخَلۡقِ اللّٰهِ‌ؕ ذٰلِكَ الدِّيۡنُ الۡقَيِّمُ وَلٰكِنَّ اَكۡثَرَ النَّاسِ لَا يَعۡلَمُوۡنَۙ

"কাজেই(হে নবী এবং নবীর অনুসারীবৃন্দ) একনিষ্ঠ হয়ে নিজের চেহারা এ দ্বীনের দিকে স্থির নিবদ্ধ করে দাও। আল্লাহ মানুষকে যে প্রকৃতির ওপর সৃষ্টি করেছেন তার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাও। আল্লাহর তৈরি সৃষ্টি কাঠামো পরিবর্তন করা যেতে পারে না। এটিই পুরোপুরি সঠিক ও যথার্থ দ্বীন। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না। (রুম-৩০) 

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা দ্বীনের যে ফেতরাতের (ইসলামী আকীদা) ওপর তোমাদের সৃষ্টি করেছেন সেদিকে প্রতিষ্ঠিত হও। আর আল্লাহর দ্বীনের কোন পরিবর্তন নেই। অতএব দীন কোনভাবে পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত বা স্থানান্তরিত হয়নি। তবে উম্মতভেদে আমল বা বিধি-বিধান সমূহ পরিবর্তিত হয়েছে।

কুরআন “দ্বীন” শব্দটিকে যে বিশেষ অর্থে পেশ করছে “দ্বীন” শব্দটি এখানে সেই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মধ্যে বন্দেগী, ইবাদাত ও আনুগত্য লাভের অধিকার একমাত্র লা-শরীক আল্লাহ‌ ছাড়া আর কারো নেই। এতে আল্লাহর সার্বভৌম কর্তৃত্ব, গুণাবলী ক্ষমতা ও অধিকারে কাউকে তাঁর সাথে সামান্যতমও শরীক করা যায় না। এখানে মানুষ নিজের ইচ্ছা ও আগ্রহ সহকারে একথা মেনে নেয় যে, সে তার সমস্ত জীবনে আল্লাহর পথনির্দেশ এবং তাঁর আইন মেনে চলবে।

[ ] আকীদার উৎসঃ 
আকীদার একমাত্র উৎস হলো ওহী। সুন্নাহ, রেসালাত, জ্ঞান ইত্যাদি বাকী যা কিছু রয়েছে সব হলো ওহীর সম্পূরক। তবে ওহী ব্যতিরেকে অন্য কিছু আকীদার উৎস হতে পারে না। 
কেননা ধর্ম বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। তাই আল্লাহর বাণীই হবে বিশ্বাসের উৎস। আল্লাহ তায়ালা বলেন- 

"হে মানব সমাজ! তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তার অনুসরণ করো এবং নিজেদের রবকে বাদ দিয়ে অন্য অভিভাবকদের অনুসরণ করো না। কিন্তু তোমরা খুব কমই উপদেশ মেনে থাকো।" (সূরা আরাফ-০৩) 

মুহাম্মদ (স) সহ সকল নবীদের উম্মতের পশ্চাদপসরণের প্রধান কারন ছিলো এটিই যে, তারা আল্লাহকে স্বীকার করতো কিন্তু সকল কিছুতে বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু আল্লাহ, একথা মেনে নিতো না। 

অতএব আকীদার উৎস হলো ওহী। কেউ যদি ধর্ম বিশ্বাসে ওহীর বিপরীত চলে বা ওহীর সাথে কিছু সংযুক্ত বা বাদ দেয় তাহলে সে বাতিল বা গোমরাহদের অন্তর্ভুক্ত হবে। 

[ ] আকীদার গুরুত্বঃ 
আকীদার স্বরুপ অংশে এর গুরুত্ব সম্পর্কে ধারনা উপস্থাপিত হয়েছে৷ 
আমল সহীহ হওয়া বা না হওয়া, ইসলামী ধর্ম বিশ্বাসের কাঠামো ঠিক থাকা বা না থাকা, পরকালে নাজাত পাওয়া বা জাহান্নামী হওয়া, মুসলিম থাকা বা না থাকা ইত্যাদি সকল কিছুর প্রধান বিষয়বস্তু হলো আকীদা। 

তাই সকলের উচিৎ, যদি ইসলামী ধর্ম বিশ্বাসে নিজেকে সাচ্ছা রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই প্রচলিত শিরক, বেদায়াত, কুফরি ইত্যাদি মতবাদ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া৷ এবং আল্লাহ নির্ধারিত এক ও অভিন্ন দ্বীনের (আকীদা ও তাওহিদ) কাঠামোয় নিজেকে আবদ্ধ করে নেওয়া।


এইচ.এম নূর আলম ফয়সাল
লেখক ও ব্লগার 

Comments

পপুলার পোস্ট

দারসুল কুরআন| রবের শ্রেষ্ঠত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের আহ্বানে করনীয় | সূরা মুদ্দাসসির (১-৭)

দারসুল কুরআনঃ ইসলামী আন্দোলন ও বাইয়াতের গুরুত্ব | এইচ.এম নুর আলম ফয়সাল|আলোর মশাল ব্লগ

দারসুল হাদীস : পাচটি বিষয়ের নির্দেশ