করোনা উপলব্দি- প্রেক্ষিতঃ পহেলে বৈশাখ
যদি সামান্য ভাইরাসের ভয়ে ক্ষনস্থায়ী জীবনের ভবিষ্যতের সুখ চিন্তা করে পহেলা বৈশাখ সহ সকল আনন্দ সেক্রিফাইস করতে হয়! তাহলে চুড়ান্ত ভবিষ্যতে অনন্তকালের সুখের জন্য কতকিছু সেক্রিফাইস করতে হবে???
ভাবতে হবে, চিন্তা করতে হবে। নিজের বিবেকবোধ ও উপলব্দিকে এখনই জাগ্রত করার সময়। প্রতি বছর ধর্মীয় বিধিনিষেধ ও জাহান্নামের ভয় উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখের নামে আমরা কত ভূলই না করে থাকি। প্রতিনিয়ত বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিলে কত অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছি। পরকালের কথা বিশ্বাস করলেও তা মানার কোন তোয়াক্কা আমাদের মধ্যে দেখা যায় না! আধুনিকতার নামে বিজাতীয় ও অন্য ধর্মের সংষ্কৃতিতে প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলছি। অনেকাংশে ইসলাম জীবন ব্যবস্থার সুন্দরতম দিক এভয়েড করে আমরা পহেলা বৈশাখের নামে অন্য ধর্ম চর্চা করছি, স্বাচ্ছন্দ্যে হোলি উৎসব পালন করছি, মসজিদে না গেলেও ঠিকই সামাজিক বন্ধনের নামে পূজা মন্ডপ, মন্দির, গীর্জায় যাচ্ছি। এভাবে আরো কত অশ্লীল ও গর্হিত কাজে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছি।।।।।।
অথচ সামান্য এক ভাইরাসের ভয়ে আজ সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা রেখেছি। দিবস চলে যাচ্ছে তা পালনের কোন উদ্রেক আমাদের মধ্যে নেই। রাস্তায় অনৈতিক ও অশ্লীল কর্ম করারও কোন ইচ্ছে নেই, বিয়ের নামে অশ্লীলতাও নেই, মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে দিন রাত মাঠ ও পার্কে ঘুরাঘুরিও নেই, এভাবে দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম ও সামাজিক বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও আমারা কতই না গর্হিত কাজে জড়িয়ে ছিলাম এবং সেগুলোকেই সুখ ও আনন্দের বাহন মনে করতাম। আজ সে গর্হিত কাজগুলো করছি না শুধুমাত্র এই জন্যই যে, ভাইরাস থেকে রক্ষে পেয়ে ভবিষ্যৎ জীবনকে উপভোগ করবো।
আমরা অনেক শুনেছি পরকালের কথা, কবরের আযাবের কথা, জাহান্নামের শাস্তির কথা এবং একই সাথে জান্নাতের কল্পনাতীত সুখনাভূতির কথা। কিন্তু এসবে কখখনোই ভ্রুক্ষেপ করিনি।
মৃত্য নিশ্চিত আমরা জানি, পরকাল নামক অনন্ত জীবনও বিশ্বাস করি। শুধুমাত্র শয়তানের ওয়াসওয়াসার ধরুন পরকালীন কল্যাণের পথে চলতে পারিনি।
আসুন উপলব্ধি করি, কেননা উপলব্দি করার এখনই উপযুক্ত সময়।।। ক্ষনস্থায়ী জীবনের নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও আমরা অস্থায়ী ভবিষ্যতের সুখ ও আনন্দ বিনির্মানের লক্ষ্যে কয়েকমাসের একটি ভাইরাস থেকে বেচে থাকতে গিয়ে আমাদের সকল আনন্দ, রোমান্টিকতাকে বিসর্জন দিতে হয়েছে। তাহলে অনন্তকাল জীবনে স্থায়ী ভবিষ্যতের সুখ ও শান্তির জন্য যে সেক্রিফাইসের প্রয়োজন তা এতদিন উপলব্দি না করলেও এখন করতে হবে।
করোনা সংক্রমণে যথাযথ সচেতন থাকতে পারলেই পরবর্তী জীবনের সুখ উপভোগ করা যাবে। একই সাথে দুনিয়ার জীবনে সকল অন্যায়, অনৈতিক ও পাপাচার থেকে সচেতনতার সহিত এসব থেকে বিরত থাকতে পারলেই মৃত্য পরবর্তী অনন্তকাল জীবনের সুখ উপভোগ করা যাবে। তথা বেহেশতের কল্পনাতীত রূপবৈচিত্র অবলোকন, হুরদের আলিংগন ও অজস্র নেয়ামতের অংশীদার হওয়া যাবে।
এখনো যদি উপলব্দি করতে না পার, তাহলে তোমার ছেয়ে বড় দূর্ভাগা আর কেউ হবে না!!!!!!
Comments
Post a Comment