বিধর্মীদের নিয়ম-নীতি পালন করা হারাম। প্রেক্ষিতঃ ভ্যালেন্টাইন্স ডে
আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় তার সে পদ্ধতি কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ব্যর্থ, আশাহত ও বঞ্চিত। ( আলে ইমরান- ৮৫)
রাসূল (স) বলেন, যে যার সাথে মিল রাখে তার হাশর তার সাথে হবে। (তিরমিযী)
যেমন ইহুদী খ্রিস্টানরা আশূরার দিন একটি রোযা রাখে। এ কারণে আমাদেরকে দুইটি রোযা রাখতে হবে। তারা দেরি করে ইফতার করে, এর বিপরীতে আমাদেরকে তাড়াতাড়ি ইফতার করতে হবে। ইহুদীরা শুধু পাগড়ী পরে, তাদের বিপরীত করে আমাদেরকে টুপির উপর পাগড়ী পরতে হবে। আবার মজুসীরা দাড়ি কেটে গোফ বড় রাখে। আমাদেরকে গোফ ছোট রেখে দাড়ি লম্বা রাখতে হবে।
এখন কোনো মুসলমান যদি তাদের অনুসরণে সেটা করে, তাহলে কুফরী হবে।
একইভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনও এর অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা ভ্যালেন্টাইন ডে রোম খ্রীস্টানদের উদযাপিত একটি বহুল প্রচলিত ধর্মীয় দিবস।।।।
ভ্যালেন্টাইন ডে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ- ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। খৃষ্টানজগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে। যেমন: ২৩ এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০ নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ মার্চ - সেন্ট প্যাট্রিক ডে।
জীবনের সকল ক্ষেত্রেই একজন মুসলিম শুধুমাত্র রাসূল (স) এর ঘোষিত আদেশ- নিষেধই মেনে চলবে। অন্যকোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিয়ম নীতি অনুসরণ করা যাবে না, যেমন আল্লাহ বলেন- "রসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা"। (হাশর-৭)
সমাজের অনেকেই করে তাই আমিও করি এই চেতনা যারা লালন করে তাদের জন্য ইব্রাহিম (আ) এর নিদর্শন দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন- "তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর সাথীদের মধ্যে একটি উত্তম আদর্শ বর্তমান৷ তিনি তাঁর কওমকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন : আমরা তোমাদের প্রতি এবং আল্লাহকে ছেড়ে যেসব উপাস্যের উপাসনা তোমরা করে থাক তাদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে অসন্তুষ্ট৷ আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি৷ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরদিনের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে- যতদিন তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে"। (মুমতাহিনা -৪)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ভ্যালেন্টাইন ডে সহ বিধর্মীদের যেকোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ কিংবা উৎসব পালন সম্পূর্ণ নাজায়েজ। আর কেউ যদি এসব করে মহান আল্লাহ তায়ালা তা গ্রহণ করবেন না। সে পরকালে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। সুতরাং ইতিহাসে বিকৃত হয়ে আসা চলমান এই ভ্যালেন্টাইন ডে এর নামে খ্রিস্টানদের এই দিবস মুসলমান দাবী করে এমন কোন ব্যক্তির পক্ষে উদযাপন করা সমীচীন নয়।
হে রাব্বুল আলামিন, আমাদের সবাইকে বিধর্মীদের অনুসরণ করা থেকে বিরত থেকে দ্বীনের যথাযথ অনুসারী হওয়ার তাওফীক দা করুন। আমীন।।
এইচ.এম নুর আলম ফয়সাল
লেখক ও ব্লগার
রাসূল (স) বলেন, যে যার সাথে মিল রাখে তার হাশর তার সাথে হবে। (তিরমিযী)
যেমন ইহুদী খ্রিস্টানরা আশূরার দিন একটি রোযা রাখে। এ কারণে আমাদেরকে দুইটি রোযা রাখতে হবে। তারা দেরি করে ইফতার করে, এর বিপরীতে আমাদেরকে তাড়াতাড়ি ইফতার করতে হবে। ইহুদীরা শুধু পাগড়ী পরে, তাদের বিপরীত করে আমাদেরকে টুপির উপর পাগড়ী পরতে হবে। আবার মজুসীরা দাড়ি কেটে গোফ বড় রাখে। আমাদেরকে গোফ ছোট রেখে দাড়ি লম্বা রাখতে হবে।
এখন কোনো মুসলমান যদি তাদের অনুসরণে সেটা করে, তাহলে কুফরী হবে।
একইভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনও এর অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা ভ্যালেন্টাইন ডে রোম খ্রীস্টানদের উদযাপিত একটি বহুল প্রচলিত ধর্মীয় দিবস।।।।
ভ্যালেন্টাইন ডে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ- ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। খৃষ্টানজগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে। যেমন: ২৩ এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০ নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ মার্চ - সেন্ট প্যাট্রিক ডে।
জীবনের সকল ক্ষেত্রেই একজন মুসলিম শুধুমাত্র রাসূল (স) এর ঘোষিত আদেশ- নিষেধই মেনে চলবে। অন্যকোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিয়ম নীতি অনুসরণ করা যাবে না, যেমন আল্লাহ বলেন- "রসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা"। (হাশর-৭)
সমাজের অনেকেই করে তাই আমিও করি এই চেতনা যারা লালন করে তাদের জন্য ইব্রাহিম (আ) এর নিদর্শন দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন- "তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর সাথীদের মধ্যে একটি উত্তম আদর্শ বর্তমান৷ তিনি তাঁর কওমকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন : আমরা তোমাদের প্রতি এবং আল্লাহকে ছেড়ে যেসব উপাস্যের উপাসনা তোমরা করে থাক তাদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে অসন্তুষ্ট৷ আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি৷ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরদিনের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে- যতদিন তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে"। (মুমতাহিনা -৪)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ভ্যালেন্টাইন ডে সহ বিধর্মীদের যেকোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ কিংবা উৎসব পালন সম্পূর্ণ নাজায়েজ। আর কেউ যদি এসব করে মহান আল্লাহ তায়ালা তা গ্রহণ করবেন না। সে পরকালে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। সুতরাং ইতিহাসে বিকৃত হয়ে আসা চলমান এই ভ্যালেন্টাইন ডে এর নামে খ্রিস্টানদের এই দিবস মুসলমান দাবী করে এমন কোন ব্যক্তির পক্ষে উদযাপন করা সমীচীন নয়।
হে রাব্বুল আলামিন, আমাদের সবাইকে বিধর্মীদের অনুসরণ করা থেকে বিরত থেকে দ্বীনের যথাযথ অনুসারী হওয়ার তাওফীক দা করুন। আমীন।।
এইচ.এম নুর আলম ফয়সাল
লেখক ও ব্লগার
Comments
Post a Comment