Posts

Showing posts from October, 2019

কুরআনের দৃষ্টিতে সফল যারা (২য় পর্ব)

Image
এইচ.এম নূর আলম ফয়সাল ৮. যারা সর্বাবস্থায় দান করে: ৯. যারা ক্রোধ ধমন করে: ১০. যারা ক্ষমাশীল: আল্লাহ তায়ালা বলেন- " যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষ–ত্রুটি মাফ করে দেয়। এ ধরনের সৎলোকদের আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন।" (ইমরান-১৩৪) নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে বিচার করলে একথা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, সুদ আসলে স্বার্থপরতা, কৃপণতা, সংকীর্ণতা, নির্মমতা ইত্যাকার অসৎ গুণাবলীর ফল এবং এই গুণগুলোই সুদকে মানুষের মধ্যে বিকশিত করে। অন্যদিকে দানশীলতা, সহানুভূতি, উদারতা ও মহানুভবতা ইত্যাকার গুণাবলীই দান-খয়রাতের জন্ম দেয়। আর নিয়মিত দান-খয়রাত করতে থাকলে এই গুণগুলো মানুষের মধ্যে লালিত ও বিকশিত হতেও থাকে। এমন কে আছে যে, এই উভয় ধরনের নৈতিক গুণাবলীর মধ্য থেকে প্রথমগুলোকে নিকৃষ্ট ও শেষেরগুলোকে উৎকৃষ্ট বলবে না? ১১. যারা সবর করে:  ১২. যারা হকের খেদমত করে: ১৩. যারা বাতিলের মোকাবেলায় দৃঢ় থাকে:  আল্লাহ তায়ালা বলেন- " হে ঈমানদারগণ! সবরের পথ অবলম্বন করো, বাতিলপন্থীদের মোকাবিলায় দৃঢ়তা দেখাও, হকের খেদমত করার জন্য উঠে পড়ে লাগো এবং আল্লাহকে ভয় করত...

কুরআনের দৃষ্টিতে সফল যারা (১ম পর্ব)

Image
এইচ.এম নুর আলম ফয়সাল  সফলতার মানদন্ড একেকজনের কাছে একেকরকম। কেউ টাকা, কেউ উচ্চতর ডিগ্রি, কেউ ক্ষমতা, কেউ সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদিকেই নিজেদের সফলতার মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করে। হ্যাঁ, পৃথিবীতে চলতে ফিরতে এসবের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। তবে এসব বস্তুগত সফলতা শুধুমাত্র দুনিয়ার জন্যই নিহিত। দুনিয়া এবং পরকালে তথা উভয় জাহানের সফলতার মানদন্ড বুঝে তার আলোকে নিজেকে গঠন করতে পারাই প্রকৃত সফলতা। সেজন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দৃষ্টিতে প্রকৃতপক্ষে সফল কারা তা আমাদের জানতে হবে। পরকালে সফলতার মানদন্ডের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন- আর সেদিন যথার্থই ওজন হবে। অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে, তারাই সফলকাম হবে। (আরাফ-০৮) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন- " তারপর যখনই শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তাদের মধ্যে আর কোন আত্মীয়তা বা সম্পর্ক থাকবে না এবং তারা পরস্পরকে জিজ্ঞেসও করবে না। সে সময় যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই সফলকাম হবে। আর যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই হবে এমনসব লোক যারা নিজেদেরকে ক্ষতির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।  তারা জাহান্নামে থাকবে চিরকাল।" (মুমিনুন- ১০১-১০৩) তাই কোনভাবেই পরকালীন সফলতার কথা ভূলে গিয়ে শুধুমাত্র ...

মুসলিম ভাই-বোনদের পরস্পর সম্পর্ক, দায়িত্ব ও কর্তব্য

Image
এইচ.এম নূর আলফ ফয়সাল  আল্লাহ তায়ালা বলেন- "মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই, অতএব তোমাদের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা পরস্পর মীমাংসা করে নাও"। (হুজুরাত- ১০) 👉 পরস্পর সম্পর্ক স্থাপনের ভিত্তি:  ➡ সদুপদেশ ➡ আত্মত্যাগ ➡ সুবিচার ➡ উত্তম ব্যবহার ➡ দয়া ➡ ধৈর্য্য ও সহিঞ্চুতা ➡ পারস্পরিক নির্ভরতা 👉 পরস্পর সম্পর্ক রক্ষায় করণীয়:  ▶ একে অপরের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া (বাকারা-২২৯) ▶ জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া (নিসা-৯৩) ▶ গীবত না করা,  দোষত্রুটি না খোঁজা (হুজুরাত-১২) ▶ একে অপরকে অপদস্থ না করা (হুজুরাত-১১) ▶ আঘাত না করা, ক্ষতি না করা তথা কখনোই অন্য ভাইয়ের প্রতি হিংসা অনুভব না করা (ফালাক-৫) 👉 পরস্পর সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য প্রয়োজন: ⏩ মান ইজ্জতের নিরাপত্তা ⏩ দুঃখ কষ্টে অংশগ্রহণ ⏩ অসুস্থ হলে সেবা করা ⏩ দেখা হলে বুকে জড়িয়ে ধরা ও মুসাহফা করা ⏩ সুন্দর বিশেষনে বা তার পছন্দনীয় নামে সম্বোধন করা। ⏩ সাক্ষাত হলেই সালাম দেওয়া। ⏩ সবসময় প্রীতি ও খোশমেজাজে মোলাকাত করা। ⏩ সম্ভব হলে একসাথে পানাহার করা। ⏩ একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ...