হে মানব! হতাশ হয়োনা, রবের ক্ষমা ও অনুগ্রহের দরজা তোমার জন্যই উম্মুক্তঃ
এইচ.এম নূর আলম ফয়সাল
পাহাড়সম পাপ ও মহাসমুদ্রের মত বিশাল গুনাহের ভান্ডার নিয়ে হতাশ ও নিরাশ না হয়ে প্রভূর দয়া, অনুগ্রহ ও ক্ষমার কথা স্মরণ করুন, এবং তার নির্দেশিত পথে এখনই ফিরে আসুন। নুর, হেদায়াত, আর কল্যাণের পথে থেকে পরকালীন সফলতার পথকে সতেজ করে তুলুন।
(জাস্ট কয়েকটি আয়াত নিয়ে চিন্তা করুন)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ
قُلۡ يٰعِبَادِىَ الَّذِيۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰٓى اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَةِ اللّٰهِؕ اِنَّ اللّٰهَ يَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِيۡعًاؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِيۡمُ
(হে নবী,) বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা যুমার: আয়াত-৫৩)
قُلۡ يٰعِبَادِىَ الَّذِيۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰٓى اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَةِ اللّٰهِؕ اِنَّ اللّٰهَ يَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِيۡعًاؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِيۡمُ
(হে নবী,) বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা যুমার: আয়াত-৫৩)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
وَلَا تَايۡـَٔسُوۡا مِنۡ رَّوۡحِ اللّٰهِؕ اِنَّهٗ لَا يَايۡـَٔسُ مِنۡ رَّوۡحِ اللّٰهِ اِلَّا الۡقَوۡمُ الۡكٰفِرُوۡنَ-
“এবং তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না, কেননা, কাফের সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয় না।”
(সূরা ইউসুফ: আয়াত-৮৭)
وَلَا تَايۡـَٔسُوۡا مِنۡ رَّوۡحِ اللّٰهِؕ اِنَّهٗ لَا يَايۡـَٔسُ مِنۡ رَّوۡحِ اللّٰهِ اِلَّا الۡقَوۡمُ الۡكٰفِرُوۡنَ-
“এবং তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না, কেননা, কাফের সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয় না।”
(সূরা ইউসুফ: আয়াত-৮৭)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
وَمَنۡ يَّقۡنَطُ مِنۡ رَّحۡمَةِ رَبِّهٖۤ اِلَّا الضَّآلُّوۡنَ-
“পথভ্রষ্টরা ছাড়া আর কে তার প্রভুর দয়া হতে নিরাশ হয়।” (সূরা হিজর: আয়াত-৫৬)
وَمَنۡ يَّقۡنَطُ مِنۡ رَّحۡمَةِ رَبِّهٖۤ اِلَّا الضَّآلُّوۡنَ-
“পথভ্রষ্টরা ছাড়া আর কে তার প্রভুর দয়া হতে নিরাশ হয়।” (সূরা হিজর: আয়াত-৫৬)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰهِ قَرِيۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِيۡنَ-
“অবশ্যই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।” (সূরা আল আরাফ: আয়াত-৫৬)
اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰهِ قَرِيۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِيۡنَ-
“অবশ্যই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।” (সূরা আল আরাফ: আয়াত-৫৬)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
لَا تَدۡرِىۡ لَعَلَّ اللّٰهَ يُحۡدِثُ بَعۡدَ ذٰلِكَ اَمۡرًا-
“তুমি জাননা, আল্লাহ হয়তো নতুন কোন উপায় করবেন।”। (সূরা আত তালাক: আয়াত-১)
لَا تَدۡرِىۡ لَعَلَّ اللّٰهَ يُحۡدِثُ بَعۡدَ ذٰلِكَ اَمۡرًا-
“তুমি জাননা, আল্লাহ হয়তো নতুন কোন উপায় করবেন।”। (সূরা আত তালাক: আয়াত-১)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
وَعَسٰۤى اَنۡ تَكۡرَهُوۡا شَيۡـًٔا وَّهُوَ خَيۡرٌ لَّکُمۡۚ وَعَسٰۤى اَنۡ تُحِبُّوۡا شَيۡـًٔا وَّهُوَ شَرٌّ لَّكُمۡؕ وَاللّٰهُ يَعۡلَمُ وَاَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ-
“হয়তো তোমরা যা পছন্দ কর না তা তোমাদের জন্য ভালো এবং তোমরা যা পছন্দ করো তা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না।” (সূরা বাকারা: আয়াত-২১৬)
وَعَسٰۤى اَنۡ تَكۡرَهُوۡا شَيۡـًٔا وَّهُوَ خَيۡرٌ لَّکُمۡۚ وَعَسٰۤى اَنۡ تُحِبُّوۡا شَيۡـًٔا وَّهُوَ شَرٌّ لَّكُمۡؕ وَاللّٰهُ يَعۡلَمُ وَاَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ-
“হয়তো তোমরা যা পছন্দ কর না তা তোমাদের জন্য ভালো এবং তোমরা যা পছন্দ করো তা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না।” (সূরা বাকারা: আয়াত-২১৬)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
اللّٰهُ لَطِيۡفٌۢ بِعِبَادِهٖ يَرۡزُقُ مَنۡ يَّشَآءُۚ وَهُوَ الۡقَوِىُّ الۡعَزِيۡزُ-
“আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াবান। যাকে যা ইচ্ছা তাই দান করেন। তিনি মহা শক্তিমান ও মহা পরাক্রমশালী"। (সূরা আশ শূরা: আয়াত-১৯)
اللّٰهُ لَطِيۡفٌۢ بِعِبَادِهٖ يَرۡزُقُ مَنۡ يَّشَآءُۚ وَهُوَ الۡقَوِىُّ الۡعَزِيۡزُ-
“আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াবান। যাকে যা ইচ্ছা তাই দান করেন। তিনি মহা শক্তিমান ও মহা পরাক্রমশালী"। (সূরা আশ শূরা: আয়াত-১৯)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
قَالَ عَذَابِىۡۤ اُصِيۡبُ بِهٖ مَنۡ اَشَآءُۚ وَرَحۡمَتِىۡ وَسِعَتۡ كُلَّ شَىۡءٍؕ-
“শাস্তি তো আমি যাকে চাই তাকেই দিয়ে থাকি কিন্ত আমার করুণা সব জিনিসের উপর পরিব্যপ্ত হয়ে আছে"। (সূরা আল আ'রাফ: আয়াত-১৫৬)
قَالَ عَذَابِىۡۤ اُصِيۡبُ بِهٖ مَنۡ اَشَآءُۚ وَرَحۡمَتِىۡ وَسِعَتۡ كُلَّ شَىۡءٍؕ-
“শাস্তি তো আমি যাকে চাই তাকেই দিয়ে থাকি কিন্ত আমার করুণা সব জিনিসের উপর পরিব্যপ্ত হয়ে আছে"। (সূরা আল আ'রাফ: আয়াত-১৫৬)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
وَهُوَ الَّذِىۡ يُنَزِّلُ الۡغَيۡثَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا قَنَطُوۡا وَيَنۡشُرُ رَحۡمَتَهٗؕ وَهُوَ الۡوَلِىُّ الۡحَمِيۡدُ-
“ তিনিই সে মহান সত্তা যিনি মানুষের নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার রহমত, করুণা ও দয়াকে চতুর্দিকে বিস্তার করে দেন। তিনি প্রশংসার যোগ্য অভিভাবক"।
(সূরা আশ শুরা: আয়াত-২৮)
وَهُوَ الَّذِىۡ يُنَزِّلُ الۡغَيۡثَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا قَنَطُوۡا وَيَنۡشُرُ رَحۡمَتَهٗؕ وَهُوَ الۡوَلِىُّ الۡحَمِيۡدُ-
“ তিনিই সে মহান সত্তা যিনি মানুষের নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার রহমত, করুণা ও দয়াকে চতুর্দিকে বিস্তার করে দেন। তিনি প্রশংসার যোগ্য অভিভাবক"।
(সূরা আশ শুরা: আয়াত-২৮)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
اِنَّهُمۡ كَانُوۡا يُسٰرِعُوۡنَ فِىۡ الۡخَيۡرٰتِ وَيَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّرَهَبًاؕ وَّكَانُوۡا لَنَا خٰشِعِيۡنَ-
“এবং তারা আমাকে আশা নিয়ে ও ভয়ের সাথে ডাকত এবং তারা আমার নিকট বিনীত ছিল”।
(সূরা আল আম্বিয়া: আয়াত-৯০)
اِنَّهُمۡ كَانُوۡا يُسٰرِعُوۡنَ فِىۡ الۡخَيۡرٰتِ وَيَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّرَهَبًاؕ وَّكَانُوۡا لَنَا خٰشِعِيۡنَ-
“এবং তারা আমাকে আশা নিয়ে ও ভয়ের সাথে ডাকত এবং তারা আমার নিকট বিনীত ছিল”।
(সূরা আল আম্বিয়া: আয়াত-৯০)
🌷আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
اِذۡ تَسۡتَغِيۡثُوۡنَ رَبَّكُمۡ فَاسۡتَجَابَ لَكُمۡ اَنِّىۡ مُمِدُّكُمۡ بِاَلۡفٍ مِّنَ الۡمَلٰۤٮِٕكَةِ مُرۡدِفِيۡنَ
"আর সেই সময়ের কথাও স্মরণ করো, যখন তোমরা তোমাদের রবের কাছে ফরিয়াদ করছিলে। আর তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন, তোমাদের সাহায্য করার জন্য আমি একের পর এক, এক হাজার ফেরেশতা পাঠাচ্ছি"।
(সূরা আনফাল: আয়াত-৯)
اِذۡ تَسۡتَغِيۡثُوۡنَ رَبَّكُمۡ فَاسۡتَجَابَ لَكُمۡ اَنِّىۡ مُمِدُّكُمۡ بِاَلۡفٍ مِّنَ الۡمَلٰۤٮِٕكَةِ مُرۡدِفِيۡنَ
"আর সেই সময়ের কথাও স্মরণ করো, যখন তোমরা তোমাদের রবের কাছে ফরিয়াদ করছিলে। আর তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন, তোমাদের সাহায্য করার জন্য আমি একের পর এক, এক হাজার ফেরেশতা পাঠাচ্ছি"।
(সূরা আনফাল: আয়াত-৯)
হে মালিক! আমাদেরকে আপনার রহমত ও অনুগ্রহের ব্যপ্তির মধ্যে শামিল থাকার তাওফিক দান করুন, আমীন।
🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇
🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇

Comments
Post a Comment