সহীহ বুখারীর ১০ টি বৈজ্ঞানিক হাদীস

১) নবীজি (সাঃ) বলেন,”জ্বর আসে জাহান্নামের তাপ থেকে! সুতরাং,জ্বর কে পানি দ্বারা প্রশমিত কর!

২)নবীজি বলেন,”যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়,তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর!কারণ,মাছির এক ডানায় আছে রোগ,অন্য ডানায় আছে প্রতিকার!

৩) নবীজি বলেন,কালোজিরা আস- সামস ব্যতিত সর্বরোগের ঔষধ! আয়েশা জিজ্ঞেস করেন,আস- সামস কি?নবীজি উত্তরে বলেন,মৃত্যু!

৪)নবীজি বলেন,”যারা রোপ্যপাত্রে পানি পান করে,তারা জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদের পেটপুর্ণ করে!

৫) নবীজি বলেন,”জাহান্নামের আগুণ আল্লাহর কাছে অভিযোগ করল,”হে আমার প্রতিপালক,আমার বিভিন্ন অংশ পরস্পরকে খেয়ে ফেলছে!সুতরাং,তিনি জাহান্নামকে দুইবার শ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেন,একটি শীতকালে (প্রশ্বাস),অন্যটি গ্রীষ্মকালে (নিঃশ্বাস)!
এবং এটাই (গ্রীষ্মকালে) প্রখর গরম ও (শীতিকালে) তীব্র শীতের কারণ!

৬)নবীজি বলেন,”আল্লাহ হাচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন!

৭)নবীজি বলেন,”ভাল স্বপ্ন আসে আল্লাহ থেকে আর দুঃস্বপ্ন আসে শয়তান থেকে!কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে তার উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া ও বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা,কারণ এতে দুঃস্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।

৮)আব্দুল্লাহ বর্ণিত:এক লোক নবীজির কাছে এসে বলল,সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং নামায আদায় করতে পারেনি!!নবীজি বললেন:শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়ে চলে গিয়েছে!

৯)নবীজি বলেন,”তোমরা সুর্যদ্বয় ও সুর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান
দিয়ে উদিত হয়।

১০) নবীজি বলেন,,”যে ব্যক্তি প্রতি সকালে ৭ টি আজওয়া খেজুর খায়,তার ওপর বিষ ও জাদু কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা!

এইচ.এম নূর আলম ফয়সাল

Comments

Post a Comment

পপুলার পোস্ট

দারসুল কুরআন| রবের শ্রেষ্ঠত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের আহ্বানে করনীয় | সূরা মুদ্দাসসির (১-৭)

Image
দারসুল কুরআন   বিষয়ঃ মহান রবের শ্রেষ্ঠত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের আহ্বানে করণীয়  (সূরা- মুদ্দাসসির, আয়াত: ১-৭) اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيْم يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ (১) قُمْ فَأَنْذِرْ (২) وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ (৩) وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ (৪) وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ (৫) وَلَا تَمْنُنْ تَسْتَكْثِرُ (৬) وَلِرَبِّكَ فَاصْبِرْ (৭) [ ] সরল অনুবাদঃ (১) হে বস্ত্র আচ্ছাদানকারী (২) ওঠো এবং সতর্ক করো (৩) এবং তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব বা মহত্ব ঘোষনা করো (৪) আর তোমার পোশাক পবিত্র রাখো (৫) অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকো (৬) অধিক প্রতিদানের আশায় কারো প্রতি অনুগ্রহ করো না (৭) এবং তোমার রবের জন্য ধৈর্য অবলম্বন করো। [ ] নামকরণঃ প্রথম আয়াতের ( الْمُدَّثِّرُ) শব্দটিকে এ সূরার নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এটিও শুধু সূরার নাম। এর বিষয় ভিত্তিক শিরোনাম নয়। [ ] নাযিল হওয়ার সময়কালঃ সূরার প্রথম সাতটি আয়াত পবিত্র মক্কা নগরীতে নবুওয়াতের একেবারে প্রাথমিক যুগে নাযিল হয়েছিল। ইমাম যুহরী এর বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন এভাবেঃ (সূরা আলাক নাযিলের পর) “কি...
Read more

দারসুল কুরআনঃ ইসলামী আন্দোলন ও বাইয়াতের গুরুত্ব | এইচ.এম নুর আলম ফয়সাল|আলোর মশাল ব্লগ

Image
ইসলামী আন্দোলন ও বাইয়াতের গুরুত্ব (সূরা তাওবা: আয়াত ১১১-১১২) إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّلَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيم- التَّائِبُونَ الْعَابِدُونَ الْحَامِدُونَ السَّائِحُونَ الرّاکعوا ناالسَّاجِدُونَ الْآمِرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّاهُونَ عَنِ الْمُنكَرِوَالْحَافِظُونَ لِحُدُودِ اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِين- 💖সরল অনুবাদ💖 (১১১) প্রকৃত ব্যাপার এই যে, আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে এবং মারে ও মরে । তাদের প্রতি তাওরাত, ইন্জিল ও কুরআনে (জান্নাতের ওয়াদা) আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকাপোক্ত ওয়্দাা বিশেষ। আর আল্লাহর চাইতে বেশী ওয়াদা পূরণকারী আর কে আছে ? কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে যে কেনাবেছা করছো সে ...
Read more

দারসুল হাদীস : পাচটি বিষয়ের নির্দেশ

Image
পাচটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি হযরত হারেসুল আশয়ারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ আমি তোমাদেরকে পাচটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি (অপর বর্ণনায়- আল্লাহ আমাকে এ পাচটি বিষয় আদেশ দিয়েছেন) ১) জামায়াতবদ্ধ হবে। ২) নেতার কথা মন দিয়ে শুনবে। ৩) তার আদেশ মেনে চলবে। ৪)আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করে চলবে। ৫) আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। -আল হাদসি অর্থ ঃ- হযরত হারেসুল আশয়ারী (রা:) হতে বর্ণিত। নবী (সা:) এরশাদ করেছেন ঃ আমি তোমাদেরকে পাচটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি (অপর বর্ণনায়- আলাহ আমাকে এ পাচটি বিষয় আদেশ দিয়েছেন) ১) জামায়াতবদ্ধ হবে। ২) নেতার কথা মন দিয়ে শুনবে। ৩) তার আদেশ মেনে চলবে। ৪) আলাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করে চলবে। ৫) আলাহর পথে জিহাদ করবে। যে ব্যক্তি ইসলামী সংগঠন ত্যাগ করে এক বিঘত, পরিমাণ দুরে সরে গেল, সে তার নিজ গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলল; তবে সে যদি সংগঠনে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করে তবে তো স্বতন্ত্র কথা। আর যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের নিয়ম নীতির দিকে মানুষকে আহবান জানায় সে জাহান্নামী। যদিও মুসলমান বলে দাবী করে। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী) হাদীসের গুরুত্ব ঃ এখানে ইসলামের এমন পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশ...
Read more